সালেহ্ বিপ্লব: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার ব্যয়সম্বলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন  দেওয়া হয়েছে। সভার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সাংবদিকদের ব্রিফ করেন। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জিডিপিতে নারীদের অবদান গণনার বাইরে থাকার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ নারীদের পারিবারিক অবদান যোগ করা হলে জিডিপি অনেক বেশি হতো। 

মন্ত্রী বলেন, নারীদের কাজের অবদান নির্ণয়য়ের জন্য বিআইডিএসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে হবে না। কিন্তু তারপরের বাজেট থেকে নারীদের অবদান হিসাব করে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব ধরা হবে। 

মন্ত্রী জানান, প্রকল্পে পরামর্শকের আধিক্য কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুমোদন দেওয়া বেস্ট প্রকল্পে একজনের বেশী পরামর্শক না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

তিনি জানান, শিশু পরিবারের শিশুদের কারিগরি শিক্ষার ফাস্ট ট্র্যাক হিসাবে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়ার উল্লাসিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আর স্লুইস গেট বানানো যাবে না। যেখানে বন্যার কারণে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যায়, সেখানে কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীল অর্থনীতির অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সরকার যখন ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করে, তখন মূলত নীল অর্থনীতির বিষয়টি সামনে আসে। তিনি বলেন, ডেল্টা প্লানে নীল অর্থনীতির জন্য একটি পৃথক অধ্যায় রাখা হয়েছে। যেখানে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের জন্য তহবিল সংগ্রহে ‘ব্লু বন্ড’ চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ইত্যেমধ্যে অনেক দেশ এ ধরনের বন্ড ইস্যু করেছে। আমরাও যখন নীল অর্থনীতির সম্ভাবানাকে আরও আকর্ষণীয় করতে পারবো, তখন এ ধরনের বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সুমদ্র সীমার রায়ের পর বহু বছর অতিবাহিত হলেও সমন্বিত প্রচেষ্টার অভাবে নীল অর্থনীতির অগ্রগতি তেমন হচ্ছে না। নীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে ডেল্টা উইং গঠন করা হচ্ছে।  

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় পরিবেশ উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৬৫৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ১২৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১০ হাজার ৫২৬ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সম্পাদনা: শামসুল বসুনিয়া